৬ উইকেট,৪ রান, ১৫ বলে

অনলাইন ডেস্ক: ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে কন্ডিশন মোটামুটি অনুকূলে থাকলেও সেভাবে কিছু করতে পারেননি। ক্রাইস্টচার্চের অপেক্ষায় ছিল সবাই। মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ আর হিম ঠান্ডা বাতাস সুইংয়ের একেবারে আদর্শ কন্ডিশন। সবাই জানে এমন পেসবান্ধব কন্ডিশনে ট্রেন্ট বোল্ট কতটা ভয়ংকর। জানতেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরাও, কিন্তু ঠেকাতে না পারলে জেনে কী লাভ! ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ বড় ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন বোল্ট। তাঁর সুইংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে। ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানদের ১০৪ রানে গুটিয়ে যাওয়াটা অভাবনীয়ই।

৪ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। উইকেটে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও রোশান সিলভা। ৪ ওভার পরই বোল্টের আগুনে পুড়তে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ১৫ বল, হ্যাঁ স্রেফ ১৫টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই বাঁ হাতি পেসার। রান দিয়েছেন মাত্র ৪, উইকেটসংখ্যা রান দেওয়ার চেয়ে বেশি-৬!
আরেকটু খোলাসা করে বললে, ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে সিলভাকে তুলে নেওয়ার পরের বলে ৪ রান দিয়েছিলেন বোল্ট। পরের বলে কোনো রান হয়নি। এরপর ১২টি বৈধ বলের ব্যবধানে কোনো রান না দিয়েই বাকি ৫ উইকেট তুলে নেন এই কিউই। ম্যাথুস এক প্রান্তে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যাওয়া-আসা দেখেছেন সতীর্থদের।
রোশন সিলভা ও নিরোশান ডিকভেলা বোল্টের বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। এর মধ্যে ডিকভেলার ক্যাচটি সম্ভবত এই টেস্ট সিরিজেরই সেরা ক্যাচ—যা নিয়েছেন বোল্টের পেস সতীর্থ টিম সাউদি। এরপর বাকি ৪ উইকেটই এলবিডব্লিউ—যেখানে সুইংয়ের ফাঁদে পড়ে কোনো ব্যাটসম্যানই বোল্টকে পড়তে পারেননি। বলের লাইন-লেংথ আর সুইং বিচার করতে না পেরে বলতে ‘আত্মহত্যা’ই করেছেন লাকমল, পেরেরা, চামারারা। এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পথে বোল্ট একবার হ্যাটট্রিকের সুবাসও পেয়েছেন।
বোল্টের এই সুইং-বিষে ভর করে প্রথম ইনিংসেই ৭৪ রানের লিড পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের স্কোর ১ উইকেটে ১৮০। দুই ইনিংস মিলিয়ে এরই মধ্যে ২৫৪ রানের লিড পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *