বিশেষ পদ্ধতি স্ট্রোক শনাক্ত করার !

অনলাইন ডেস্ক: স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা স্ট্রোক ‘দ্রুত’ শনাক্ত করার খুবই কার্যকর পদ্ধতি বের করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘ফাস্ট’।

এফ (ফেস) বা মুখমণ্ডলস্ট্রোক যে কোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই হতে পারে। এক্ষেত্রে খুবই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, তবে নেওয়ার আগে যে লক্ষণগুলোর দিকে দ্রুত নজর দিতে হবে, সেগুলো হচ্ছে, ‘ফাস্ট’ অর্থাৎ এফএএসটি (FAST)। এফএএসটি-র প্রথম বর্ণ এফ দিয়ে বোঝানো হয়েছে ‘ফেস’, অর্থাৎ মুখমণ্ডল বা চেহারা। এখানে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর মুখ ঠিক আছে কিনা বা মুখ বেঁকে গেছে বা যাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।

এ (আর্মস)‘এ’ – আর্মস অর্থাৎ হাত। এই জটিল রোগকে এড়াতে পরীক্ষা করে দেখুন রোগী তার হাত দুটো নিজেই ওপরে তুলতে পারে কি না। কিংবা পারলেও কিছুক্ষণ ওপরে ধরে রাখতে পারছে কিনা, সে দিকেও লক্ষ্য রাখুন।

এস (স্পিচ)এস – ‘স্পিচ’ বা কথা বলা। ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন রোগী কথা বলার সময় তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা বা রোগীর কথা আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন কিনা।

টি (টাইম)‘টি’ – তে ‘টাইম’ বা সময়। রোগীর মধ্যে এই তিনটি লক্ষণের যে কোনো একটি দেখা গেলে আর সময় নষ্ট না করে তাকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত ‘মহা মূল্যবান’।

হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগবাসা থেকে বের হওয়ার আগেই হাসপাতালে নিউরোলজির জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে যাবেন। তা না হলে হয়তো রোগীকে বাঁচানো কঠিন হতে পারে, কিংবা রোগী বেঁচে থাকলেও বড় কোনো ক্ষতি রয়ে যেতে পারে। তাই ‘ফাস্ট’ বিষয়টি বিশেষভাবে মনে রাখা উচিত বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে জার্মানির ‘লেয়া’ ম্যাগাজিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *