অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান বসানো হয়েছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সেতুর ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের উপর ‘১-ই’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এরই মধ্য সেতুর ৩ হাজার ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এর আগে ১৪ জানুয়ারি সেতুর ২১তম স্প্যান বসানো হয়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাক্টশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ‘১-ই’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করে। দুই ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে পৌনে ১২টার দিকে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
প্রকৌশলী সূত্রে জানাযায়, পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৫টি স্প্যান। বাকি স্প্যানগুলো মার্চের মধ্যেই দেশে চলে আসবে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২২টি স্প্যান স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে যার দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৩০০ মিটার। এ সিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।
এদিকে বসানো স্প্যানের নিচের তলায় রেলওয়ে স্ল্যাব এবং ওপরের তলায় রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ২৯১৭ টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০৯৭ টি তৈরি করা হয়েছে। আর ২৯৫৯ টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে সব তৈরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৬৮টি রোডওয়ে স্ল্যাব এবং ৪৯৫টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।