চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর-ঝোড়াঘাটা সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদল নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চালায়। এ সময় ২০-২৫ জনের কাছ থেকে লুটে নেওয়া হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে তার আগেই ডাকাতদল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ রাতভর অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ডাকাতির শিকার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল বলেন, সন্ধ্যায় ওই সড়কে আমি ও আমার এক বন্ধু ডাকাতদের কবলে পড়ি। ডাকাত সদস্যরা প্রথমে আমাকে র্যাব পরিচয় দিয়ে ফেনসিডিলের একটি চালান আটকের জন্য অবস্থানের কথা বলেন।
একপর্যায়ে পাশের জঙ্গল থেকে হ্যাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরিহিত ৪-৫ জন আমাদের দুজনকে জিম্মি করে আমার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও আমার সাথে থাকা বন্ধু আনন্দর কাছে থাকা চার হাজার ৮০০ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ডাকাতির জিম্মি দশা থেকে আমরা মুক্তি পাই। তার আগেই কেউ পুলিশকে খবর দিয়ে দেয়। আমাদের আটকে রাখার আগে এবং পরে ওই পথে যারা গেছে তাদেরই আটক করে টাকা মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন ডাকাতির কবলে পরা কয়েকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ওই পথে যাতায়াতকারী সবাইকে আটক করে ডাকাতদল যার কাছে যা পেয়েছে ছিনিয়ে নিয়েছে। ডাকাতরা ছিল ৬-৭ জন। এভাবে তারা দেড়-দুই লাখ নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বলেন, এটি গণডাকাতি বলা ঠিক হবে না। রাস্তায় গাছ ফেলে কয়েকজন ছিনতাইকারী গতিরোধ করে ফেনসিডিল উদ্ধারের নামে কয়েকজনের নিকট থেকে কিছু টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে। আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। খুব শিগগির ওই ছিনতাইকারীরা আইনের আওতায় আসবে।