Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

শৈত্যপ্রবাহ আরো তিন দিন থাকবে

অনলাইন ডেস্ক : শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ টাঙ্গাইল, রাঙামাটি ও নওগাঁ অঞ্চলের ওপর দিয়ে।  বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার এই শৈত্যপ্রবাহ আরো তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, দেশের কিছু কিছু এলাকায় বয়ে যাওয়া মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বৃহস্পতিবার জানান, চলতি জানুয়ারি মাসে আর কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। বরং মাসের শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে, ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাহিল কুড়িগ্রামের জনপদ। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা মিলছে না। গতকাল সকাল ৯টায় এখানে তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নীলফামারীতে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তুরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, জেলায় শীতের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চলছে ফগলাইট জ্বালিয়ে। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি কষ্টে পড়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আগের দুই দিনের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও উত্তুরে বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version