নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের একটি জুয়েলারি থেকে ক্রেতা সেজে অভিনব পন্থায় ৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার যশোর এবং ঢাকার যাত্রাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, যশোরের অভয়নগরের হীরা পারভীন (৩৫), তার বোন সামিনা বেগম (৪৮) ও সহযোগী তাসলিমা বেগম (৪০) এবং ব্রহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের আইয়ুবপুরের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে জুয়েলারি ব্যবসায়ি মো. সালাউদ্দিন (৩৪)। তাদের কাছ থেকে ২১ ভরি চোরাই স্বর্ণ এবং চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত বছরের ৭ নভেম্বর নগরের কালীরবাজার স্বর্ণপট্টির তাজিম জুয়েলার্সে ক্রেতা সেজে ওই বোরকা পরিহিত ৩ নারী ৭০ ভরি ওজনের ৯০টি স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যায়। জুয়েলারির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বোরকা পরিহিত ৩ নারী তাজিম জুয়েলারিতে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে। এরপর দু’জন দোকানের সেলসম্যানকে ব্যস্ত রেখে একের পর এক স্বর্ণালঙ্কার দেখতে চায়। আর এ সুযোগে একজন ৯০টি স্বর্ণের চেইন বোরকার ভেতরে লুকিয়ে ফেলে। যার ওজন ৭০ ভরি।
নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, চুরির ঘটনার পর জুয়েলারিতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই ৩ নারীকে শনাক্ত করা গেলেও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার যশোর জেলার অভয়নগর নোয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে হীরা পারভীন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে চুরির ঘটনায় জড়িত তার বড় বোন সামিনা বেগম এবং সহযোগী তাছলিমা বেগমকে নোয়াপাড়া শিমুলতলী পালপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সামিনা বেগমের বাড়ি থেকে চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে চোরাই স্বর্ণ কেনার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার ঢাকার দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে সালাউদ্দিন জুয়েলার্সের মালিক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে গলিত ২১ ভরিস্বর্ণ এবং চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সঙ্গে জড়িত।