বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেঙে সোনা চুরি, ৫ জন আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেঙে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৭ কেজি সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনায় কাস্টমস-এ কর্মরত ৪ জন এনজিও কর্মীকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে সন্দেহজনকভাবে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে আজিবর নামে এক এনজিও কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃত এনজিও কর্মীরা হচ্ছেন, টিপু সুলতান (২৮), লাল্টু মিয়া (৪০), আসাদ (৩৫) ও সুলতান মোড়ল (৫৫)। এরা প্রত্যেকেই কাস্টমস এর বিভিন্ন দফতরে এনজিও কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের সিআইডি দফতরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে লুট হওয়া সোনার বিষয়ে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, গত ৮ নভেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, সরকারী ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভোল্ট ভেঙে ১৭ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃওরা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও লুট হওয়া সোনা উদ্ধারে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় গোটা কাস্টমস বিভাগে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগে কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (চ:দা) মো: এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও র‌্যাবের অনুসন্ধান অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৭ কেজি সোনা, ১৯ হাজার ২৩০ ভারতীয় রুপী এবং ৩৭ হাজার বাংলাদেশি টাকা লুট হয়।

চুরির ঘটনা জানার পরপরই কমিশনার ভোল্টের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআইসহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয় সোনা উদ্ধারে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, চুরি যাওয়া স্বর্ণের বেশির ভাগই ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শুল্ক গুদামে জমা হয়। ওই সময়ে ৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মূল্যবান গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন।

যশোর জেলা পুলিশের সিআইডি ওসি জাকির হোসেন জানান, কাস্টমসে লুট হওয়া সোনা উদ্ধারে এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করে জিঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, সোনা চুরির ঘটনায় সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। তারা এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে। তবে তদন্তে দীর্ঘ সুত্রিতার কারণে কাস্টমস এর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *