অনলাইন ডেস্ক : দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ। এরমাধ্যমে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কি প্রকারের হবে এবং এর মাধ্যমে কি কি সেবা প্রদান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সরকারি দলের আরেক সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মোবাইল গ্রাহকদের কাছে প্রলুব্ধকরণ ও প্রতারণামূলক অফার ও বিরক্তিকর মেসেজ বন্ধের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে মোবাইল ফোন গ্রাহক তার সংশ্লিষ্ট অপারেটরের জন্য নির্ধারিত শর্টকোড ডায়াল করে ডু নট ডিস্টার্ব ফিচারটি চালু করে নিলে গ্রাহকের কাছে আর কোনো প্রমোশনাল মেসেজ আসবে না। তবে সরকারি তথ্য এর অন্তর্ভুক্ত নয়। অপারেটর ভিত্তিক ডু নট ডিস্টার্ব শর্টকোড গুলো হচ্ছে- গ্রামীণফোন *১২১*১১০১#, রবি এয়ারটেল-*০৭# এবং বাংলালিংক-*১২১*৮# তারপর অপশন-৬।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, জরুরি এসএমএস ব্যতীত রাত ১০টার পর হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত যেন কোন প্রমোশনাল মেসেজ গ্রাহকদের না পাঠায় সেজন্য মোবাইলফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর ফলে ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। তথাপি এ ধরণের কোন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে সেই মোবাইল নম্বর বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।