কুষ্টিয়ায় দুই সহযোগীসহ কারাগারে স্কুলছাত্রীর ধর্ষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বাধীন (৪৫) এবং সহযোগিতার অভিযোগে নুরুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী বেদেনা খাতুনকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ২টায় অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

অভিযুক্ত স্বাধীন সম্পর্কে ওই ছাত্রীর চাচা এবং সদর উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। এঘটনায় রবিবার ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে অভিযোগ এনে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়ি থেকে অন্যান্য দিনের মতো যথারীতি স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত সম্পর্কে চাচা স্বাধীন ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়াস্থ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নরুল ইসলামের বাড়িতে বিশেষ কাজ আছে বলে প্রবেশ করে এবং ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করার পর দরজার বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়। এসময় স্বাধীন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক ঘণ্টা পর কক্ষের দরজা খুলে দিলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনার বিবরণ দেয় পরিবারের কাছে। পরে পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া মডল থানায় এসে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। সেখানে এঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার অভিযোগ এনে ওই বাড়ির বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুনকেও অভিযুক্ত করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, স্বাধীন, নুরুল ইসলাম ও বেদেনা ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *