‘করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করছেন নার্সরা’

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছেয়ে গেছে গোটা বিশ্বে। চীনের উহানজুড়ে শুধুই হাহাকার। হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমলেও, এখনও অসুস্থ কয়েক হাজার মানুষ। চিকিৎসক আর নার্সরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য নিজেরাই নিজেদের মাথা ন্যাড়া করে ফেলছে সেসব নার্স। এতে দ্রুত ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। হাজার হাজার রোগীর সুস্থতার জন্য এভাবেই স্বার্থত্যাগ করছেন তারা।
হাসপাতালের স্টাফরা এমনভাবে কাজ করছেন, যাতে কোনও সময় নষ্ট না হয়। বাথরুমে যাওয়ার বদলে ডায়পার ব্যবহার করেন তাঁরা। ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। ইনফেকশন যাতে না হয়, তার জন্য ওষুধ মাখতে মাখতে তাদের চামড়া সাদা হয়ে যাচ্ছে। মাস্ক লাগানো থাকতে থাকতে বিকৃত হয়ে যাচ্ছে মুখ।

এক নার্সের চোখের নিচে একটি ব্যান্ডেজও দেখা যাচ্ছে। মাস্ক পরার কারণেই সম্ভবত সেখানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। তার জন্যই তিনি ব্যান্ডেজ করে রেখেছেন সেখানে। দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকার কারণে আরেক নার্সের নাকের ওপর রক্ত জমেছে। কারও এমন ক্ষত তৈরি না হলেও গভীর দাগ ফুটে উঠতে দেখা গেছে। তাদের চোখেমুখেও ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।

এরই মাঝে নতুন নাম পেল ভাইরাসটি। COVID-19 নামে এই মারণ অদৃশ্য হামলাকারীর পরিচিতি হয়েছে। মঙ্গলবার ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। জেনেভায় হু সদর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই নাম ঘোষণা হয়েছে।

এদিকে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রামিত রোগী যে হারে বাড়ছিল তাতে মন্থর গতি এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তবে এতে স্বস্তির কিছু নেই। কারণ করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এর মারাত্মক প্রভাব চিনে দেখা গিয়েছে। এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। দ্রুত এটা দমন করা না গেলে বিশ্বজুড়ে মহামারি হবেই।

চীনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েয়ে, রবিবারের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। সংখ্যায় সেটা আগে ছিল ৩০৬২ জন এখন ২৪৭৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *