করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো গুজবে কান দিবেন না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস নিয়ে মিথ্যা কোনো গুজবে কান না দিতে দেশের জনগনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীস্থ নবনির্মিত নার্সিং অধিদপ্তরের নতুন ভবন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এই আহবান জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ কিছু মিথ্যা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা। মুরগির মাংস খাওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা থেকে শুরু করে বিদেশ ফেরত কোন সুস্থ্ মানুষকে নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিনই আপডেট দেয়া হচ্ছে এবং করণীয় বিষয়গুলি বলা হচ্ছে। সুতরাং কোথাও কোন রকম মিথ্যা গুজব ছড়ানো যাবেনা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার বাইরে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন ধরনের কথায় কান দেয়া যাবেনা।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যখাত সবদিক দিয়ে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই দেশের সকল প্রবেশ পথে ২ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সন্দেহজনক প্রায় ৭২ জন বিদেশ ফেরত মানুষকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে একজনও করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। আর কোন কারনে কোন সক্রমিত করোনা রোগী চলে এলেও তার চিকিৎসার সব ধরনের জোড়ালো প্রস্তুতি দেশের স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে।

নার্সিং অধিদপ্তরের গুরুত্ব উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তামানে সরকারি, বেসরকারি সব মিলিয়ে ৩৭৬ টি নার্সিং ইন্সটিটিউট রয়েছে। এখান থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০ হাজার নার্স বের হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারের নীতিমালা পুরোপুরি মেনে চলতে এবং নার্সিং পেশাকে আরো আধুনিকায়ন করতে নার্সিং অধিদপ্তরের গুরুত্ব অনেক। নতুন ভবনের অবকাঠামোগত সব কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *