‘করোনাভাইরাস : বাদুড় খাওয়া থামেনি তাদের’

অনলাইন ডেস্ক : শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল, চীনের উহান শহরে বাদুড় থেকেই করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকে গেছে। সাপ, ইঁদুরসহ বন্যপ্রাণীদের নাম ভিলেনের তালিকায় এলেও করোনাভাইরাসের উৎপত্তি বাদুড়ে হওয়ার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। এরকম পরিস্থিতিতে বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে ওইসব বাজারে যেতে সাধারণ জনগণকে বারণও করছেন তারা।

অথচ, এখনো বাদুড় বিক্রি হচ্ছে। আর সেখানে ভিড় করে খাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রতি শনিবার ব্যাংকক থেকে ৯৬ কিলোমিটার দূরের এক স্থানে বাদুড় রান্না করে বিক্রি করা হয়। আশেপাাশের কয়েক গ্রামের লোকজন সেখানে ভিড় করে বাদুড়ের মাংসের স্বাদ নেন।

মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেখানে পাঁচ শতাধিক বাদুড় বিক্রি হয়। ওইসব হোটেল থেকে বাদুড়ের মাংস বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। নিপা থেকে শুরু করে সর্বশেষ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে বাদুড়ের নাম এলেও তাদের ভেতরে বিন্দু পরিমাণ ভয় নেই। ইন্দোনেশিয়ার সুলোসি আইল্যান্ডেও বাদুড় বিক্রি হয়। সেখানে বাদুড়ের রান্না করা মাংস এবং গ্রিলও পাওয়া যায়।

ডিউক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর মেডিক্যাল স্কুলের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াং লিনফা বলেন, বাদুড় এত পরিমাণে জীবাণু বহন করে যে, তার সংস্পর্শে এলে যে কোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাদুড় এমনসব ভাইরাস বহন করে, যা স্তন্যপায়ী প্রাণী, বিশেষ করে মানুষকে সহজেই আক্রান্ত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *