
অনলাইন ডেস্ক : সারা বিশ্বে ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের বাইরে বিশ্বের আরো অনেক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটি এখন এক বিশ্ব-মহামারিতে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি এবং ইরানেও এখন যেভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সারা বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের বাইরে ২৬টি দেশে এক হাজার দু’শরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ২০ জন। ইতালিতে করোনাভাইরাসে চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানা গেছে সোমবার। করোনাভাইরাসে (কোভিড নাইনটিন) আক্রান্তদের এক হতে দুই শতাংশ এতে মারা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সঠিক হার আসলে এখনো জানা যায়নি।
সোমবার নতুন করে তিনটি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা জানা গেছে। এই তিনটি দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান, কুয়েত এবং বাহরাইন। এদের সবাই সম্প্রতি ইরান সফর শেষে ফিরেছিলেন। ইরান গতকাল জানিয়েছিল, সেখানে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের ৪৩টি ঘটনা ধরা পড়েছে, বেশিরভাগই পবিত্র কোম নগরীতে। আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে এতো মানুষ আর কোথাও মারা যায়নি।
কোমের একজন এমপি আজ অভিযোগ করেছেন যে সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আসল চিত্র আড়াল করার চেষ্টা করছে। তার মতে, কেবল কোম নগরীতেই ৫০ জনের মতো মানুষ মারা গেছে। তবে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইরানের এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক দেশ দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে। ইরান ভ্রমণে সব ধরনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো। ইরানে গতকাল রবিবার নতুন করে তিন জনের মৃত্যু ও ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার যায়। এরপর করোনা আতঙ্কে ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে ইরানের সঙ্গে বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও আর্মেনিয়া।
চীনের বাইরে অন্যান্য দেশেও যেভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার অধ্যাপক পল হান্টারও একইরকম আশংকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে সময়ের পর একটি বিশ্ব-মহামারি আর ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে মনে করা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় সেই সময় আরো কাছে চলে এসেছে বলেই মনে হচ্ছে।