‘দুর্নীতির তথ্য জানতে হটলাইন চালু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না’

অনলাইন ডেস্ক : দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ বিষয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর একটি ফলোআপ গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সার্বিক পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রথম দফার পর্যালোচনার (২০১৫) পরবর্তী সময়ে দুদক কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে-

• দুদকের বাজেট বৃদ্ধি যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারেনি

• দুদকের নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন ও কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি, তবে নিয়োগে পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।

• দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর জন্য ‘হটলাইন ১০৬’ প্রবর্তন। কিন্তু অভিযোগের বড় অংশের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

• দুদকের ‘পঞ্চবার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১৭-২০২১)’ প্রণয়ন, যদিও বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে।

• নতুন হালনাগাদ তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট প্রবর্তন, তবে এখনো এর প্রচারের ঘাটতি রয়েছে।

• গবেষণার উদ্যোগ ও দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি। যদিও দুদকের নিজস্ব সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।
২০১৫ সালের গবেষণায় প্রাপ্ত স্কোরের তুলনায় ২০১৮ সালের স্কোরে দুদকের কর্মদক্ষতার উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই।

• যেসব নির্দেশকে উন্নতি- কর্মী বাছাই, অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিগম্যতা, দণ্ডাদেশের হার, প্রচার-প্রচারণা, অন্যান্য।

• যেসব নির্দেশকে অবনতি- দুদকের ক্ষমতা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার, তদন্ত ও মামলা করায় দক্ষতা, দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা, অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে সক্ষমতা ও পেশাদারত্ব, প্রতিরোধ, শিক্ষা ও আউটরিচ কার্যক্রমের বাজেট, সরকারের সহায়তায় আস্থা।

অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে-

• দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপ- ২০১৬-২০১৮ সালের মোট ৪৭৫৪৯টি অভিযোগের মধ্যে ৩২০৯টি অভিযোগ (৬.৭৫%) অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয় (আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ৬৬ শতাংশের বেশি)। অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়ার জন্যে যাচাই প্রক্রিয়া কঠোর, দুদকের মতে অধিকাংশ অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে না।

• দক্ষতা ও পেশাদারত্ব- অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও দায়িত্বে অবহেলার শাস্তির হার বিবেচনায় দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত এখনো মানসম্মতভাবে দক্ষ ও পেশাদার নয়।

• মামলার হার- দুদক ২০১৬-২০১৮ সালে ৪০৩৮টি অনুসন্ধানের মধ্য থেকে ৮৪৮টি মামলা (২১%) করে (আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ৭৫ শতাংশের বেশি)।

• দুদকের কর্মক্ষমতা- দুদকের ওপর জনসাধারণের আস্থার ঘাটতি, জনগণের ধারণায় দুদক ক্ষুদ্র দুর্নীতির ওপর বেশি মনোযোগী, ‘বড় দুর্নীতিবাজ’ ধরার ক্ষেত্রে দুদকের দৃশ্যমান সাফল্য নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *