Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

যশোরের অভয়নগরে ভয় দেখিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে পেটানোর ভয় দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের তেতুলতলা শামসুল উলুম রহমানীয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আবু মুসা পালিয়ে যান।

আট বছর বয়সি দ্বিতীয় শ্রেণির ওই শিশু শিক্ষার্থী কাঁদতে কাদঁতে বলে, প্রায় সময় মাদরাসার নূরানী বিভাগের বাংলা শিক্ষক মো. আবু মুসা হুজুর আমার শরীরে হাত বোলাতেন এবং বাজে কথা বলতেন। সোমবার হুজুর তার ঘর পরিষ্কার করার জন্য আমাকে একটি ঝাড়ু আনতে বলেন। আমি ঝাড়ু নিয়ে আসলে হুজুর আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এ সময় আমি চিৎকার করতে গেলে হুজুর লাঠি দিয়ে পেটানোর ভয় দেখান এবং বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।

ওই ছাত্রীর মা জানান, গত সোমবার মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। কান্নার কারণ জানতে চাইলে আমার মেয়ে জানায়, মাদরাসার নূরানী বিভাগের বাংলা শিক্ষক মো. আবু মুসা আমার মেয়ের শরীরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছে। সে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। বিষয়টি কাউকে জানালে পিটিয়ে মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আমি ও আমার পরিবার মাদরাসার মুহতামিম মো. সরোয়ার হোসেনের কাছে সবকিছু জানিয়ে মুসা হুজুরের বিচার দাবি করেছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক আবু মুসাকে মাদরাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। আবু মুসার ব্যবহৃত ০১৯২৬-৩১৫৭৩৬ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই ব্যাপারে মাদরাসার মুহতামিম সরোয়ার হোসেন কোনো মন্তব্য না করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রেজাউল হোসেন বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে মাদরাসায় যায়। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক আবু মুসাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কমিটির পক্ষ থেকে তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

Exit mobile version