ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাঁশখালী পৌরসদরের একটি মাদরাসায় ছাত্রীকে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদরাসার এক মৌলবি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ধর্ষক শিক্ষক পৌরসভার উত্তর জলদী ভাদালিয়া গ্রামের লেদু মিয়ার পুত্র মো. জমির উদ্দিন (২৬)। তিনি ২০১২ সালে বিয়ে করেছেন। তার ঘরে ৪ বছর ও ২ বছর বয়স্ক দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উত্তর জলদী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গল জলদী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ঝাড়কাটা শাহ ওয়ালিউল্লাহ নুরানী মাদরাসা ও হেফজখানায় হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করত ১২ বছর বয়স্ক শিশুটি। ধর্ষক মৌলবি জমির উদ্দিন ৬ মাস ধরে এ মাদরাসায় একমাত্র শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করতেন। এর ফাঁকে ধর্ষিতা শিশু মাদরাসাছাত্রীকে নানা প্রলোভনে প্রেমের প্রস্তাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ধর্ষিতাকে চা আনতে হবে বলে মাদরাসায় রেখে দেয়। মাগরিবের নামাজ শেষে একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষক মাদরাসায় ধর্ষণ করে। বিষয়টি বাবা-মাকে না জানানোর ধর্মীয় নানা বিধি-বিধান রয়েছে বলে ধর্মীয় ফতোয়া শিখায় ধর্ষিতাকে। এর পরে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করে।

ধর্মভয়ে শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়নি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করলে ছাত্রীটি বিরক্ত বোধ করে বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা-কে জানায়। ধর্ষিতার বাবা-মা আজ বুধবার পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই মৌলবিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাঁশখালী থানার এসআই দীপক কুমার সিংহ বলেন, ধর্ষক গ্রেপ্তারের পর ধর্ষিতাকে তিনবার ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। এই অভিযোগে মামলা হয়েছে। আগামীকাল ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *