‘প্রথম অটোমেশন সফটওয়্যারের উদ্বোধন শিক্ষামন্ত্রীর’

ন্যাশনাল ডেস্ক : শিক্ষাখাতে প্রথম পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অটোমেশন সফটওয়্যারের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল রবিবার রাজধানীর শিক্ষা ভবনে অবস্থিত ডিআইএ মিলনায়তনে অটোমেশন সফটওয়্যারের পাইলটিং বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই উদ্বোধন করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিব বর্ষকে শুধু আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ করে রাখতে চাই না। মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে সরকার সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মন্ত্রী বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং শিক্ষকদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি আমরা যারা শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে আছি আমাদের নিজেদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাও জরুরি। আমাদের মুল কাজ হল জাতিকে শিক্ষিত, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক করে গড়ে তোলা।

অনুষ্ঠানে অটেমেশন সফটওয়্যারের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিআইএ-এর যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার। তিনি নানা উপস্থাপনার মাধ্যমে অটোমেশন সফটওয়্যারের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমানে ডিআইএ-এর পরিদর্শকদের ভ্রমনসূচি থেকে শুরু করে পরিদর্শন, প্রতিবেদন প্রণয়নসহ নানা কাজ শেষে মন্ত্রনালয়ে পাঠাতে কমপক্ষে ১০০ দিন সময় লাগে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাদের বক্তব্যও গ্রহণ করা হয়। যাকে ‘ব্রডশিট রিপ্লাই’ বলা হয়। এই রিপ্লাইয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়। যেজন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া থাকলেও এক বছরও লেগে যায়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতামতসহ তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এরপর অভিযোগ নিষ্পত্তি হতে তিন-চার বছরও সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বদলি হয়ে যান। ফলে অনেক ফাইলই নিষ্পত্তি হয় না।

বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, অটোমেশন সফটওয়্যার চালু হলে ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠানো সম্ভব হবে। যেহেতু সবকিছু অনলাইনে হবে, তাই ব্রডশীট রিপ্লাইয়েও ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। এরমধ্যে জবাব না পাওয়া গেলে জবাব নাই বলে গণ্য হবে। এই অটোমেশন সফটওয়্যার চালু হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও জবাবদিহিতা স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। পরিদর্শন কাজেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবো।

শিক্ষামন্ত্রী এই অটোমেশন সফটওয়্যারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক ওলিউল্লাহ মো. আজমতগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর মহাপরিচালক প্রফেসর আহাম্মেদ সাজ্জাদ রশীদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *