![](https://www.desherpotrika.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের জেরে চীনের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। তবে এখনও পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কারো শরীরে করোনাভাইরাস মেলেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়ে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছন। কারণ করোনারভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা হয়, রাতারাতি তার দর বেড়ে হয়েছে পাঁচগুণ। ১০০টাকার মাস্ক কলকাতার একাধিক ওষুধের দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০০টাকায়। কিন্তু এই কালোবাজারি মানতে নারাজ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এর জেরেই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই একের পর এক ওষুধের দোকান ও গুদামে ঘটল ইবি বা রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মকর্তাদের অভিযান।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় ওই অভিযানের কাজ। শহরের একাধিক হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকান ও গুদামগুলিতে একযোগে এই অভিযান শুরু করা হয়। সেসব জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ক্যাশমেমো, রেজিস্ট্রার, মাস্ক। সেইসঙ্গে ওই সব দোকানদারদের ইবির পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা তাঁদের দোকানের সামনে বোর্ড টাঙিয়ে লিখে রাখেন যে তাঁরা কোথা থেকে মাস্ক কিনছেন, কত দামে বিক্রি করছেন, আর ঠিক কতই বা বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি।
কলকাতার খোলা বাজার থেকে এন৯৫ মাস্ক কার্যত রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছিল। যেটুকু মিলছিল সেটাও চড়া দরে বিক্রি হচ্ছিল। সরকারি হাসপাতালেও মাস্কের দেখা মিলছিলই না।
এর জেরেই শুক্রবার নবান্নে করোনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, মাস্ক নিয়ে বেআইনি মজুতদারি বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। যারা সেটা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে পুলিশ তো বটেই, সরকারের পক্ষ থেকে সব রকমের নজরদারি শুরু হয়েছে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় ইবির এই অভিযান।