দেশে করোনা ভাইরাস : শার্শায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাস্কের দাম ও ব্যবহার

ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি : চীনের নভেল করোনা ভাইরাস এখন বাংলাদেশে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম বেশি করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশেও এই আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

করোনা ভাইরাস দেশে চলে আসার সাথে সাথে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। ফেসবুক বা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জনসচেতনতা মুলক পোষ্ট দেখে সচেতন ক্রেতা সাধারণ আগে ভাগেই ছুটে চলেছেন বাজারে মাস্ক কেনার জন্য।
সোমবার সরেজমিনে  বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই  মাস্কের বিক্রি বৃদ্ধি ছিল দেখার মতো। ব্যবসায়ীরা নিজেরাও মুখে মাস্ক লাগিয়ে দোকানদারি করছে। সেই সাথে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে মাস্কের দামও। শ্রেণি ভেদে মাস্কের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এমন অবস্থায় মাস্কের দাম কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
মাস্ক বিক্রির হোইহুল্লোড় দেখে মনে হচ্ছিল বাজারের সব মাস্ক নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। ঠিক দুপুর আনুমানিক ২টার  মধ্যেই মাস্কের সংকট দেখা দেয় স্থানীয় বাজারের বিভিন্ন দোকান গুলোতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি মাস্ক সর্বনিম্ন ২০ টাকা বিক্রি করছেন তারা। উপরে ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত  বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। করোনা ভাইরাস আসার আগেই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাস্ক কিনতে আসা সুলতান, মাহমুদ, দুলাল চৌধুরী জানান,  দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পাওয়ার পরই মাস্ক কিনতে  এসেছি। তবে দোকানিরা বলছেন কেনা বেশি টাকায়, তাই দাম বেশি।
করোনা শনাক্তের পর বিভিন্ন স্থানে এবং দোকানগুলোতে মাস্ক কেনার হিড়িক পড়ে যায়। ফার্মেসি, স্টেশনারি দোকান এমনকি ফুটপাতের দোকানেও মাস্ক কিনতে এক ধরনের মাতামাতি সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *