করোনাভাইরাস সন্দেহে ইতালি ফেরত এক বৃদ্ধ হাসপাতালে

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ইতালি ফেরত এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় ওই বৃদ্ধের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন টেকনোলজিস্ট। গত বৃহস্পতিবার ইতালি থেকে বাংলাদেশে ফিরেন ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধ। গত শনিবার জ্বর ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন তিনি। মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাড়িভাড়া গ্রামে তার বাড়ি।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আলাদা একটি ভবনে বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে করোনা প্রতিরোধ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ইতালি ফেরত ওই বৃদ্ধকে সেখানেই রাখা হয়েছে। ডা. মিথেন আরো জানান, সোমবার ওই বৃদ্ধকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রোগের কারণ নিশ্চিত হতে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)কে জানানো হয়।

সেই লক্ষ্যে রাতে ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় তিনি জ্বর ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত ওই রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমনটা জানালেন, মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই কর্মকর্তা।

একদিকে ইউরোপের ইতালি ফেরত অন্যদিকে, দেশের বাড়িতে আসার দুদিনের মধ্যে জ্বর ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন তিনি। তাই করোনাভাইরাস সন্দেহে তাকে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ বছর ধরে ওই ব্যক্তি ইতালিতে বসবাস করছেন। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতেই দেশে ফিরেন তিনি।

এদিকে, চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, জেলায় করোনা ভাইরাসজনিত রোগীদের জন্য এক শ শয্যার বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ২১টি এবং সাতটি উপজেলায় আরো সাতটি করে মোট ৪৯টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের এখন থেকে আলাদা রাখার বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জানান, মাস্ক ও সেনেটাইজেশন সামগ্রী যেন কোনো অবস্থায় বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি না করে, সেই বিষয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার ও প্রচারণারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *