Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী কী হয়’

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১১৩টি দেশ ও অঞ্চল।

পরিসংখ্যান গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৮০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩ জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের গ্রাসে গোটা বিশ্ব। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর কী কী কষ্ট হয়? কীভাবে তিলে তিলে আক্রান্তকে গ্রাস করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ? ৫৬ হাজার আক্রান্তের ওপর পরীক্ষা করে দেখার পর এ বিষয়ে একটি ধারণা সামনে এসেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়। ১৪ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ বা তাদের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর এবং বাকি ৬ শতাংশ আক্রান্তের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

আক্রান্তদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস আক্রান্তের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা দ্রুত নষ্ট করে দেয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় আর আক্রান্তদের ঘন ঘন জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক মিনিটে ৩০ বারের বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর ক্রমশ আক্রান্তের হার্ট, কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে এবং রোগী ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, হাপানির মতো সমস্যা থাকলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিপজ্জনক করোনাভাইরাস।

Exit mobile version