মুজিববর্ষ থেকে আওয়ামী লীগের নবযাত্রা শুরু : ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিববর্ষ পালনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করা হবে।

গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যদিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। জাতি আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। মুক্তিকামী মানুষের স্লোগানের নাম শেখ মুজিব। তিনি চিরন্তন-চিরঞ্জীব। বাঙালির প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে অবিনাশী চেতনার নাম শেখ মুজিব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হৃদয়ের সব ভালোবাসা উজাড় করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে শুরু হবে নবতর পথযাত্রা। আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী ও স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে আগামীতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশটাকে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলছেন।

তিনি বলেন, আগামীকাল যে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তা বছরব্যাপী চলবে। সারা দেশে এক যোগে কর্মসূচি পালিত হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করব। জেলা পর্যায়ের দু’জন ত্যাগী নেতাকে সম্মাননা জানানো হবে। এ ছাড়া সারাবছর বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলবে। মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে জাতীয় কমিটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা কর্মসূচি পালন করব। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব।

আগামীকালের কর্মসূচিতে গরিবদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, মিষ্টি বিতরণ করা হবে। বিশেষ করে গরিব শিশুদের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীতের প্রতি আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন শফিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজি নজিবুল্লাহ হিরু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *