ন্যাশনাল ডেস্ক : বিশ্বে মহামারী রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এই ভাইরাসের সংক্রমণের সতর্কতার অংশ হিসেবে গত ১৬ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
ওইদিনই (১৬ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। এতে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা ও শিক্ষার্থীদের বাইরে ঘোরাফেরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে এই ছুটিকে ‘সাধারণ ছুটি’ মনে না করে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে কোচিং সেন্টার, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল।
‘কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ছুটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি অনেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণেও যাচ্ছেন সপরিবারে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই আদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলেও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কিছু কোচিং সেন্টার তাদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ বুধবার পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। পাশাপাশি সন্তানদের বাসায় অবস্থান নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।