ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী করোনা আতঙ্ক দিন দিন আরো বেশি প্রকট হওয়ায় চিকিৎসা,ব্যবসা ও ভ্রমনে যে সব বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরে আসছেন। তবে দুই দেশের মধ্যে বিমান,বাস ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের কষ্ট করে ফিরতে হচ্ছে। দেশে ফেরার সময় সব ধরনের যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি আরোপে সাধারণ কোন ভারতীয় বা বিদেশি নাগরীক ১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে আসা বন্ধ রয়েছে। তবে যে সকল বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা দেশে ফিরে আসছেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়রা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। নতুন করে সাধারণ পাসপোর্টধারী যাত্রী আসা,যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইমিগ্রেশনের এক অংশের কর্মকর্তা,কর্মচারীদেরকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আজিম উদ্দীন বলেন, করোনা সংক্রমন এড়াতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, স্থলবন্দররের দুটি পণ্য প্রবেশ দ্বার ও রেল ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে গত ১৭ জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ভারত ফেরত দেশ,বিদেশি যাত্রী ও পণ্য বাহী ট্রাক চালককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে যাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এরা সবাই ছিল করোনা ঝুকি মুক্ত।
বেনালোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মহাসিন বলেন, কোন ভারতীয় বা বাংলাদেশি নাগরীক বাংলাদেশে প্রবেশে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা জারী হয়নি। তবে সাধারণ ভারতীয় বা বিদেশি নাগরীক ভারত থেকে আসছেনা। যে সকল বাংলাদেশি ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা ফিরে আসছে। এছাড়া যে সকল ভারতীয়রা বাংলাদেশে ছিলেন তারাও ফিরছেন।
ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রী আবুল কাশেম বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত তারা এতেদ্রুত কাজ শেষে ফিরে এসেছেন।
যাত্রী রহিম বলেন, তিনি রেল পথে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দুই দেশ। মধ্যে বাস,ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় কষ্ট করে ফিরতে হয়েছে।
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমন এড়াতে গত ১৩ মার্চ বিকাল ৫ টা থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সরকার সাধারণ বাংলাদেশিদের ভারতে ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আর ১৫ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী রেল,বাস ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে। তবে এপথে এখনও স্থল ও রেল পথে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য সচল রয়েছে।