করোনাভাইরাস ছড়ায় চার ধাপে, এখন কোথায় বাংলাদেশ?

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৮৮১ জন। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৯ হাজার- ৯৩৭৭ জন মারা গেছে। করোনা মোকাবেলায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বলা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী করেনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মোট চারটি ধাপে।

এমনই তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

প্রতিবদেনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ টি ধাপ। যে ধাপগুলোতে ক্রমান্বয়ে পুরো গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এবং পরস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যেতে থাকে।

প্রথম ধাপ: এ পর্যায় হলো এমন অবস্থা যখন কোনো একজন ব্যক্তি আক্রান্ত অন্য দেশ থেকে আরেকটি দেশে প্রবেশ করে। এবং পরীক্ষা করে তার শরীরে করোনা আক্রান্ত নিশ্চিত হয়। এ পর্যায়কে প্রথম ধাপ বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপ: এই ধাপে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে যখন তার নিকটাত্মীয় বা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হন। এটিকেই দ্বিতীয়ধাপ বলে ধরা হয়েছে।

তৃতীয় ধাপ: এই ধাপে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে একটু বেশি পর্যায়ে ছড়িয়ে যায়। এ পর্যায়ে বেশ অনেক সংখ্যক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে শুধু নিকটাত্মীয়ের ভেতর রোগ ছড়ানোটা সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং ছড়িয়ে পড়তে থাকে লোকালয়ে। এই ধাপে এখন রয়েছে ইতালি, স্পেন।

চতুর্থ ধাপ: এটি এমন ধাপ যেটিকে খুব খারাপ অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। এই ধাপে পুরো দেশেই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এমন কোনো পয়েন্টকে তখন আর আলাদা করা চলে না। সকল দেশেই তখন এই মরণ রোগ ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হয়। এই ধাপের মধ্যে পড়ে চীন।

বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এটির ভয়াবহতা যে কতখানি গিয়ে ঠেকবে, ক্ষতির মাত্রা কি হবে তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। যেহেতু করোনা প্রতিরোধ রাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাই এই মুহূর্তে জনসচেতনতার বিকল্প আর কিছুই নেই। একমাত্র সচেতনতাই ক্ষতির মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। সকলেই সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *