অনলাইন ডেস্ক : চীনে উৎপত্তি হলেও করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে ইতালিতে। করোনার ভয়াল থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে ইতালি। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসবে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬৪ হাজার। তবে সরকার যে সংখ্যা ঘোষণা করেছে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা তার চেয়ে অন্তত দশগুণ বেশি।
ইতালির যে সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে তার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেলি আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে- ইতালিতে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৭৭ জন মারা গেছেন। চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইতালি এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
ইতালিতে এত বেশিসংখ্যক মানুষ মৃত্যুর পরও শুধুমাত্র নিজ উদ্যোগে যেসব ব্যক্তি সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন তাদেরকেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে দেশটিতে হাজার হাজার করোনাভাইরাস সংক্রমিত মানুষ চিহ্নিত করার বাইরে থেকে গেছেন।
ইতালির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সির প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেলি বলেন, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং এ তথ্য বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি চার লাখ ৪০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।’ তিনি বলেন, ইতালিতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে কঠিন সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে সেটি হচ্ছে ভেন্টিলেটর ও মাস্কের স্বল্পতা।
বিদেশ থেকে ইতালি মাস্ক আমদানির চেষ্টা করছে কিন্তু বোরেলি জানান ভারত, রোমানিয়া, রাশিয়া এবং তুরস্কের মতো দেশ মাস্ক রপ্তানি এ মুহূর্তে বন্ধ রেখেছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছি কিন্তু আমি আশঙ্কা করছি সম্ভবত আর কোনো মাস্ক বিদেশ থেকে ইতালিতে এসে পৌঁছুবে না।