অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৩৮০ বারেরও বেশি জিনের বদল ঘটিয়ে ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। করোনা রোধের উপায় বের করতে মরিয়া সব দেশ।
সংক্রামক এই রোগের উৎস সম্পর্কে জানতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্যের হদিশ পেয়েছেন আইসল্যান্ডের গবেষকরা। আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ ৬৪ হাজার। সে জন্য সরকার সেখানে কোনও লকডাউন বা কারফিউ জারি না করে দেশের সব জনগণের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই পরীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে অবাক করা তথ্য।
এখন পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি ফার্ম ডিকোড জেনেটিক্স ১০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করেছে। এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে মাথাপিছু পরীক্ষার তুলনায় আইসল্যান্ডের এই সংখ্যা অনেক বেশি। এটাই মাথাপিছু হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা পরীক্ষা বলে দাবি করেছে আইসল্যান্ড প্রশাসন।
অন্যান্য দেশের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আইসল্যান্ড একমাত্র দেশ যেখানে করোনার কোন লক্ষণ না থাকলেও বৃহৎ সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এমনকি সেই সব মানুষেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যারা কখনও কোনও করোনায় আক্রান্তের সংস্পর্শেরও আসেননি।
গবেষণায় আইসল্যান্ডে ২১৮ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে ২১৮ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে তাদের অর্ধেকের মধ্যেই করোনা কোনও লক্ষণ ছিল না। অর্থাত্ তারা সিংহভাগই ছিলেন অ্যাসিম্পটোম্যাটিক ছিলেন। এই তথ্য এটাই প্রমাণ করেছে যে, ভাইরাসজনিত লক্ষণ নেই এমন মানুষের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য হারে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-২৯ সংক্রমণ।
আইসল্যান্ডের চিফ এপিডেমিওলজিস্ট থোরলফার গনসন বাজফিড-এর বক্তব্য, ‘ডিকোড জেনেটিক্সের প্রাথমিক ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, যারা পজেটিভ হয়েছেন তাদের প্রায় অর্ধেকই লক্ষণহীন। বাকি অর্ধেক মানুষের মধ্যে মাঝারি ফ্লু-জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়।’
আইসল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও যেখানে উচ্চ জনসংখ্যার হার রয়েছে সেখানে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে একই ধরণের গবেষণা করবেন। কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসার জন্য এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।