অনলাইন ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পর এবার করোনায় আক্রান্ত ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আজ শুক্রবারই এই খবর জানা যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও ভিডিওতে জানিয়েছেন নিজের সংক্রমণের কথা। এরপরই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে সরকারে থাকা অনেক নেতা-মন্ত্রীই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, যাদের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওঠাবসা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংক্রমণের কথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরই হ্যানকক আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন তার উপসর্গ খুবই সামান্য, তিনিও আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। এর আগে একাধিক হলিউড তারকা থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী এবং ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমার শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। আমি স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে গেছি। ঘরে বসে আমি সরকার পরিচালনার কাজ করে যাব।
ব্রিটেনজুড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তার মধ্যে ৫৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনেও জারি হয়েছে লকডাউন। ব্রিটেনেও তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ।
সোমবার লন্ডনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা ঘোষণা করেন। তখন বরিস জনসন জানিয়েছেন, এই লকডাউন চলাকালীন একবার ব্যায়াম, জরুরি পণ্যসামগ্রী ও ওষুধ কেনা ছাড়া কেউ আর ঘরের বাইরে পা রাখতে পারবে না। একসঙ্গে দু’জনের বেশি কোথাও জমায়েত করা যাবে না। আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তির কথাও বলেছেন। সেক্ষেত্রে জরিমানা হবে ৩০ পাউন্ড । কেউ নির্দেশ না মানলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে তিনি জানান।