অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৮ জনে পৌঁছেছে। করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৮৮০ জনের।
এছাড়া, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন এক লাখ ৪২ হাজার ১৮৪ ব্যক্তি।
আক্রান্তের দিক দিয়ে আমেরিকা এখনও অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এরপরেই ইতালি, চীন, স্পেন ও জার্মানির অবস্থান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নিউ ইয়র্ক শহরকে কোয়ারেন্টাইন করার আভাস দিয়েও নিজের কথা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এখন তিনি বলছেন, গোটা শহরকে কোয়ারেন্টাইন করার প্রয়োজন নেই। শনিবার দিনের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, গোটা নিউ ইয়র্কের পাশাপাশি নিউ জার্সি ও কানেক্টিকাটের অংশবিশেষ কোয়ারেন্টাইন করা হবে। কিন্তু দিনের শেষে তিনি হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের পরামর্শে মত বদলান।
আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে যার মধ্যে নিউ ইয়র্কেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার। দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই হাজার ২২১ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ইতালিতে শনিবার সর্বশেষ একদিনে ৮৮৯ ব্যক্তির মৃত্যুর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৩ জনে। এর আগের দিন শুক্রবার দেশটিতে মারা গিয়েছিল ৯১৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে আমেরিকা সব দেশকে ছাড়িয়ে গেলেও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে ইতালি অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
স্পেনে শনিবার ৮৪৪ জন করোনারোগীর মৃত্যুর ফলে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৮২ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ২৩৫ জন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলেছেন, তার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। প্রয়োজন হলে আরো কঠোরভাবে জনগণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। ব্রিটেনে শনিবার নতুন করে ২৬০ জনের মৃত্যুর ফলে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।