কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে কুষ্টিয়ার বহু আলোচিত মানবপাচারকারী নারী নির্যাতনকারী ও প্রতারক চক্রের প্রধান শিখা ওরোফে (ঘোরো) আটক করে মডেল থানা পুলিশ। আটক কৃত শিখা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হায়দার প্রামানিক (ড্রাইভারের) স্ত্রী। কুষ্টিয়া মডেল থানায় শিখার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন এর ৬ ও ৭ ধারা মোতাবেক ৩ জনকে আসামি করে মর্জিনা খাতুন (৪৮), স্বামী সিদ্দিক মোল্লা, সাং-চর মিলপাড়া, গড়াই আবাসন, থানা ও জেলা-কুষ্টিয় বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নং ০৬ তারিখ ০৭-০৪-২০২০। এই মামলা অপর আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। ভুক্তভোগি সূত্রে জানাযায়, শিখা (ঘোরোর) প্রতারনার শিকার হয়ে সর্বোচ্চ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে প্রায় দুই’শত নারী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিখা ওরোফে (ঘোরো) আমাকে সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়ে বলে তুমি ফ্রী ভিসায় সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরী করতে পারবে। এবং প্রতি মাসে মোটা অংঙ্কের টাকা বেতনের আশা দেয়। এই বেলে শিখা আমার কাছ থেকে আমার শেষ সম্বল বিশ হাজার টাকা নেয়। শিখা সে আমাকে ঢাকাতে নিয়ে যায় এবং কয়দিন একটি ক্যাম্পে রাখে, তারপর আমাকে
শিখা সৌদিতে পাঠিয়ে দেয়। আমি সৌদি আরবে পৌছানোর পর ২ নম্বর আসামী মলিনা খাতুন ও বেশ কয়েক জন মিলে আমাকে নিতে আসে। ২ নং আসামী মলিনা আমাকে নিয়ে ঐ দেশে বিক্রি করে দেয়। আমি ৪ মাস যাবৎ বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি এবং আমাকে অনেক যৌন হয়রানী সহ্য করতে হয়। পরে আমি পালিয়ে গিয়ে সৌদি দূতাবাসে অবস্থান করি।
তখন আমি শিখাকে ফোন করি তখন শিখা আমাকে বলে তোমাকে দেশে ফিরেয়ে আনতে পারি, তবে আমাকে পয়ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হবে, আমি তার কথা মত আমার মেয়েকে ফোন দিয়ে শিখাকে টাকা দিতে বলি। তারপর আমাকে সৌদি দূতবাস থেকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আমি শিখার কাছে টাকা ফেরত চাইলে আমাকে ক্রমাগত ভাবে হত্যার হুমকি প্রদান করে দেয়।