কোটা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব গ্রিন কার্ডে

অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিরত অভিবাসীদের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন অনুমোদনের ক্ষেত্রে ‘বৈষম্য’ কমাতে দেশভিত্তিক কোটা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে। এই অনুমতি পাওয়াকে গ্রিন কার্ড পাওয়া বলা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার ঠিক আগের ধাপটিই এটি। এই প্রস্তাব আইনে রূপান্তরিত হলে ভারত ও চীনের মতো জনবহুল দেশের উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পাওয়া সহজ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, তখন আর কোটার কারণে তাঁদের কোনো অভিবাসী স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হবেন না। তবে কম জনসংখ্যার দেশগুলোর কোটা সুবিধার ফলে গ্রিন কার্ড পাওয়ার এত দিনের ‘মসৃণ’ পথে এখন কিছুটা কণ্টকময় হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বিপুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে তাদের।

যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিরত এইচ-১বি ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ১ লাখ ৪০ জনকে গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। একবার গ্রিন কার্ড পেলে সারা জীবন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিঘ্নভাবে বসবাস ও চাকরি করতে পারেন একজন অভিবাসী। তবে বর্তমান আইনে এক দেশের সর্বোচ্চ ৭ শতাংশের বেশি অভিবাসীকে গ্রিন কার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয় না। সেই হিসাবে এক দেশের সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৮০০ জন গ্রিন কার্ড সুবিধা পেয়ে থাকেন। নতুন আইনে গ্রিন কার্ড অনুমোদনের মোট সংখ্যা বাড়ানো হবে না। সব দেশের অভিবাসীর মধ্যে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে দেওয়া হবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি।

কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক দুই দলেরই সমর্থন পেয়েছে এই প্রস্তাব। এমনকি সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ উভয় কক্ষেই একই ধরনের দুটি বিল প্রস্তাবিত হয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস স্থানীয় সময় গত বুধবার সিনেটে (উচ্চকক্ষ) ‘ফেয়ারনেস ফর হাইস্কিলড ইমিগ্রান্টস অ্যাক্ট’ নামে এই বিল প্রস্তাব করেন। পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার কোটা ৭ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে বিলটিতে।

এইচআর ১০৪৪ নামে একই ধরনের আরেকটি বিল আনা হয়েছে প্রতিনিধি পরিষদে (নিম্নকক্ষ)। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য জো লফগ্রেন ও অভিবাসন ও নাগরিকত্ব–সংক্রান্ত হাউস বিচার বিভাগীয় উপকমিটির সভাপতি ও রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য কেন বাক এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কংগ্রেসে এই বিলকে আইন করার জন্য মাইক্রোসফট, গুগল, আইবিএমসহ টেকজায়ান্ট কোম্পানিগুলো ছাড়াও ইমিগ্রেশন ভয়েস, কমপিট আমেরিকা কোয়ালিশন, ইমিগ্রেশন টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল, মার্কিন চেম্বার অব কমার্স, ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার্স, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনসহ অনেক সংগঠন কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *