Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

ক্যাথলিক চার্চে শতশত তরুণীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আমেরিকায় রোমান ক্যাথলিক চার্চে উপাসনা করতে আসা কিশোরীরা সবচেয়ে বেশী ওইসব চার্চের ধর্মগুরুদের কাছেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে শতশত ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের এসব চার্চের পক্ষ থেকে মোটা অংকের জরিমানা প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও থেমে নেই ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে চার্চেই নারীদের ধর্ষণের ঘটনা। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে ধর্ষণের সাথে যুক্ত থাকা ১৮৮ ধর্মগুরুর (?) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা সকলেই গত এক দশকে শত শত কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসবের তদন্ত চালাচ্ছে নিউজার্সির পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৮ জনের বিরুদ্ধে একাধিক তরুণীকে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে প্যাটারসনে ২৮, ক্যামডেন-৫৭, ট্রেনটনে ৩০ এবং মেটুচেনে ১১ জন রয়েছেন। তরুণীদের উপাসনায় সহায়তার নামে নির্জন কক্ষে নিয়ে যৌন ক্ষুধা মেটানোর এ তালিকার শীর্ষে ছিলেন কার্ডিনাল থিয়োডোর ম্যাকক্যারিক। তিনি ছিলেন আমেরিকায় ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ পদবিধারী ধর্মগুরু। তাকে ধর্মগুরুদের অ্যাসোসিয়েশনের সর্বোচ্চ আসন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। 

নিউয়ার্ক আর্কডিয়োসেসের প্রধান কার্ডিন্যাল যোসেফ টবিন সারা অঙ্গরাজ্যে রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিতরণকৃত এক সার্কুলারে উল্লেখ করেছেন, যেসব ধর্মগুরুর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এমন অপকর্ম করা হয়েছে ১৯৪০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে। তাদেরকে চার্চ থেকে সরিয়েও দেয়া হয়েছে। সকলের ব্যাপারেই সংশ্লিষ্ট সিটি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এসব দুষ্ট লোকের সমুচিত শাস্তির দাবি সকল মানুষেরই। 

এই সার্কুলারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা কথিত ধর্মগুরু কর্তৃক ধর্ষিতা হয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিরবে কাঁদছিলেন এবং বিচার প্রত্যাশা করছিলেন, তারা এখন নিশ্চয়ই স্বস্তিবোধ করবেন। তাদের কষ্টের মাত্রা হ্রাস পাবে এবং একইসাথে সামনের দিনে এমন জঘন্য কর্মে অন্যেরা প্রবৃত্ত হতে বারবার ভাববে। ক্যাথলিক চার্চের প্রতি ধর্মপ্রাণ মানুষদের আস্থা পুনপ্রতিষ্ঠায় এমন পদক্ষেপের বিকল্প ছিল না। 

Exit mobile version