অনলাইন ডেস্ক : কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির আবরণে সারাদেশ কার্যত অবরুদ্ধ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডাক্তার মুশতাক বলছেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সাবধানতাই একমাত্র চিকিৎসা। আমাদের সবাইকে সচেতনভাবে চলতে হবে। যারা সেরে উঠছেন তাদেরও কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না এ ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হয়, ততদিন সাবধানতা অবলম্বন ছাড়া আর কিছু করার নেই।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর আবুল হাসনাৎ মিল্টনের মতে, বিধি-নিষেধ ত্রিশ শতাংশ মানুষ না মানলে দীর্ঘ হবে লকডাউনের মেয়াদ। লকডাউন যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ লোক ঠিকমত পালন করে তাহলে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ সময় লাগে। আর যদি ৭০ শতাংশ লোক ঠিকমত পালন করে কিন্তু ৩০ শতাংশ লোক বাইরে থাকে তাহলে এর সংক্রমণ এবং লকডাউনের সময় বাড়তেই থাকে।
বিআইডিএস সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই একটি মহামন্দায় প্রবেশ করেছি। বাংলাদেশেও আমরা এর ছোঁয়া দেখতে পারছি। এটি অর্থনীতির জন্য বিশাল একটি চাপ। এজন্য আমাদের এখনই কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। দীর্ঘদিন যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে কিভাবে আমরা গৃহভিত্তিক উৎপাদন করতে পারবো সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ টিভি