যে ৫ ধরনের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশি মারা যাচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক : যতই দিন যাচ্ছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। প্রতি মুহূর্তে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৪ জনে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৩৪১ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষ। তবে বয়স্ক, শারীরিকভাবে দুর্বলরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, পাঁচ ধরনের কারণে কোনো মানুষের করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমে গুরুতর অসুস্থ, পরে মৃত্যুর শঙ্কা বেশি তাদেরই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃতদের মধ্যে পাঁচটি ধরন দেখা গেছে। সেগুলো হলো-
১. বয়স

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের করোনায় মারা যাওয়ার হার অত্যধিক।
বয়স্কদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় হার্ট, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতির হাত থেকে তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে রক্ষা করতে পারছে না

২. লিঙ্গ

পরিসংখ্যান বলছে, নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। যদিও এর কারণ এখনো জানতে পারেননি গবেষকরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীরা বেশিরভাগ সময় পুরুষের চেয়ে ঘরে সময় পার করেন। এমনকি করোনাভাইরাসের বিষয়টিও নারীরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। কিন্তু পুরুষরা সেভাবে বিবেচনা না করে এখনো বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও পুরুষের সংখ্যাটা বেশি হচ্ছে।

৩. শারীরিকভাবে দুর্বল

যেসব মানুষ আগে থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে আছেন; বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে সমস্যা, হজমের সমস্যায় ভুগছেন- তাদের মৃত্যু হার বেশি।

৪. ওজন

শারীরিকভাবে বেশি ওজনের মানুষদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। ফ্রান্সের গবেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে এতো বেশি মানুষ মারা যাওয়ার প্রধান কারণ হলো বাড়তি ওজন। মোটা মানুষজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার কথাও বলেছেন গবেষকরা।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সে ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কেবল আক্রান্ত কোনো মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে টেনে নিয়ে আসতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, করোনা আক্রান্ত হলে তাদের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে গুরুতরভাবে। এ ধরনের মানুষকে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত নিতে হচ্ছে। পরে বেশি সংখ্যক এ ধরনের মানুষ মারা যাচ্ছে।সূত্র:খবর মিরর’র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *