নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু ওয়েবসাইটে খবর দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে আইপিএলের ১৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। শুধু তাই নয়, কাল্পনিক ভেন্যু ও তারিখের কথাও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এটার সত্যতা কতটুকু? নাকি শুধুই একটি গুজব?
বাংলাদেশে তোলপাড় চললেও এই পর্যন্ত কোন বিশ্বস্ত ভারতীয় ওয়েবসাইট বা সংবাদ মাধ্যমে আইপিএল ভারতের বাইরে বা বাংলাদেশে হবে এমন কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি। ভারতীয় বোর্ডের কোন মুখপাত্র এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন কিছুই জানান নি। কিছুদিন আগে বিপিএলে ফাইনাল দেখতে আসে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। অনেকেই বলেছিলো, তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন আইপিএল নিয়ে কথা বলতে। তবে আসল সত্য হচ্ছে তার এই ব্যাপারে কোন অধিকার নেই। মনোহর আইসিসি সভাপতি, তার কাজ আইসিসির কাজ দেখভাল করা।
এছাড়াও খবরে এমনও শোনা যায় ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তারা আসছেন স্টেডিয়াম পরিদর্শনে, তবে বিসিবির কাছ থেকে এই ধরনের কোন কথাই শোনা যায় নি। কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তারা এইদেশে এসে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে এমন সংবাদ আসেনি। আইপিএল বাংলাদেশে হলে সেটা লুকানোর কোন বিষয় ছিলো না। পূর্বেও যখন ভারতের বাইরে আইপিএল হয় তখন কয়েক মাস আগে থেকেই বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই তা ভারত ও আয়োজক দেশে প্রচার করা হয়। তবে বাংলাদেশের জন্য এখনো দুই বোর্ডের কেউ এই ব্যাপারে কোন কথাই জানাননি যে আইপিএল হচ্ছে বাংলাদেশে।
ইতিপূর্বেও বিভিন্ন বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলা নিয়ে ভুয়া খবর প্রচারিত হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। ২০১৮ সালের আইপিএলে তামিম ইকবাল রাজস্থান, পাঞ্জাবের হয়ে খেলবেন তাদের মুখপাত্র দাবি করেছেন এমন নানান খবর আইপিএলের আগে ফলাও করে প্রচার হয় বিভিন্ন ভুইফোড় মিডিয়াতে। তবে নিলামে কোন দল তামিমের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ না করায় বোঝা যায় সংবাদ গুলোর বিন্দুমাত্র সত্যতা ছিলো না। মাসখানেক আগে এইবারের আইপিএলে লিটন দাস পাঞ্জাবে খেলবে বলে বিভিন্ন দেশী মিডিয়ায় খবর আসে। তবে সেটিও একটি মিথ্যা সংবাদ প্রমাণিত হয়।
মার্চের ২৩ তারিখে পর্দা উঠবে এই বছরের আইপিএলের।