Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ায় প্রথম ২ করোনারোগী সনাক্ত, দুই এলাকা লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলায় এই প্রথম দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। অপরজন ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ। আক্রান্ত এক জনের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামে। আক্রান্ত একজন কুষ্টিয়া শহরের ২৩৮, মীর মোশাররফ হোসেন সড়ক, সূর্যসেনা ক্লাব সংলগ্ন আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০) এবং অপরজন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৬৯)। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এদের দুজনের করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্ত মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০) মাদারীপুর জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিসার পদে কর্মরত আছেন। গত ২৫ মার্চ তিনি মাদারীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন। এর পর থেকে তিনি কুষ্টিয়াস্থ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অপরজন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের আক্কাস আলী (৬৯) তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছেড়ে অন্য কোন জেলায় জাননি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। গত কদিন ধরে এই দুজনের জ¦র, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় গত ২০ এপ্রিল বিকেলে দুজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরের দিন ২১ এপ্রিল সকালে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ বুধবার সকালে ঢাকা থেকে এই দুজনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এলাকাবাসী জানায়, আক্কাস আলী স্থানীয়ভাবে তৈরী ছোট মেশিন দিয়ে বাড়ি বাড়ি ধান মাড়াই এর কাজ করেন। অনেক আগে থেকেই তার এ্যাজমার সমস্যা রয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত দুজন এতদিন বাড়িতে ছিলেন। পজেটিভ রেজাল্ট আসার পর তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত দুজনের বাড়িসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আশে পাশের কয়েকটি বাড়ি এমনকি উক্ত এলাকাও লক ডাউন করা হতে পারে বলে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন জানান, কুষ্টিয়া জেলায় এটাই প্রথম করোনাভাইরাস সনাক্ত হলো। এজন্য কুষ্টিয়া জেলায় ৩৩৯ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৫ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখনো আসেনি।

Exit mobile version