অনলাইন ডেস্ক : কিছুদিন ধরেই বারবার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে রাক্ষসী পঙ্গপালের কথা, এই পঙ্গপালের দল যেখানেই যাচ্ছে সেখানকার সব ফসল সাবার করে দিচ্ছে নিমিশেই। গত তিনদিন ধরে ভারত থেকে দল বেধে আসা কীটপতঙ্গের দৃশ্য দেখে রীতিমত ভীত হয়ে পড়েছেন ধামইরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী খরমপুর গ্রামের সাধারণ মানুষেরা।
জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত এলাকায় গত তিনদিন ধরে ভারত থেকে আসা এমন পঙ্গপালের মতই দেখতে প্রজাপতির দলের দৃশ্য দেখে রীতিমত আতঙ্কে আছে উপজেলার মানুষেরা। তবে এ রকম বিরল প্রজাতির প্রজাপতি আগে কখনও দেখেনি কেউ। আসলে এগুলো প্রজাপতির অন্য কোন জাত নাকি সত্যিকারের রাক্ষসী পঙ্গপাল এ বিষয়টি এখনই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার অন্যথায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এলাকাবাসী। তবে এ পর্যন্ত এলাকায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়নি।
উপজেলার খড়মপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ধামইরহাট সরকারি এম এম ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হাদিউল ওমামী বলেন, হঠাৎ মঙ্গলবার বিকেলে ঘর থেকে বের হতেই দেখি ১০ থেকে ১৫ টি করে দলবদ্ধ ভাবে প্রজাপতির মতো অসংখ্য কীটপতঙ্গ উড়ে আসছে। দেখতে কিছুটা হলুদ সাথে সাদা বর্ণের। কিছুদিন আগে থেকেই পেপার-পত্রিকায় দেখছি পঙ্গপাল নামে কীটপতঙ্গ ধেয়ে আসার কথা। পঙ্গপালের কথা ভেবে গ্রামের সাধারণ মানুষ এক রকম আতঙ্কে রয়েছে। এই পঙ্গপালগুলো পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে বাংলাদেশের খরমপুর গ্রামের উপর দিয়ে প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু দিয়ে পরপর তিনদিন উড়ে যেতে দেখেন গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, আমি কেনাকাটা করে হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। ফার্সিপাড়া গ্রামের কাছাকাছি যেতেই রাস্তার পাশে দেখি উৎসুকু জনতা দাঁড়িয়ে থেকে কি যেনো দেখছে রাস্তার পাশেই আমার সাইকেলটি দাঁড় করিয়ে তাকিয়ে দেখি অনেক পোঁকা, মাঝে মধ্যে প্রজাাপতির মতো লাগছিল। তারা দলবদ্ধ ভাবে ফার্সিপাড়া থেকে খড়মপুর বর্ডার পর্যন্ত এভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্ত জুড়ে উড়ে যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা সেখানে লোক পাঠিয়েছি, তবে যতটুকু জানতে পেরেছি এটি প্রজাপতিরই অন্য একটি জাত। এটি পঙ্গপাল নয়। পঙ্গপালের বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি সুতরাং এ বিষয়ে গ্রামের মানুষের ভয় পাবার কিছু নেই।