কুষ্টিয়ায় নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি, কারাদণ্ডসহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : খোদ কুষ্টিয়াতে তৈরি হচ্ছিল নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তা আবার শহরের মধ্যে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই যে বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোম্পানীর হ্যান্ড স্যানিটাইজার নকল করে বা ইথানল ক্রয় করে এনে তার সাথে প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষেত্রে ভেজাল মিশিয়ে নিজেদের নামে বাজারে ছাড়ছিল।
করোনা প্রতিরোধে একটি অতি সাধারন দ্রব্যের নাম হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এটি বিশ্বের তাবৎ মানুষের সর্বক্ষনিক নিরাপত্তার নাম হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ প্রার্দুভাবের পর থেকেই। যার কারনে বিপুল চাহিদা দেখা দিয়েছে এই পণ্যটির। উৎপাদনে হিমশিম খেতে হ্েচ্ছ বড় বড় সব প্রতিস্ঠানের। আর এ সুযোগকেই কাজে নিয়েছে এক ধরনের নীতি-নৈতিকতাহীন, বিবেকবর্জিত অসাধু কিচু মানুষ। নেমে পড়েছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে।
গতরাতে এমন একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় কুষ্টিয়া প্রশাসনের ভ্রম্যামান আদালত। মিলে যায় সত্যতা।
ভ্রাম্যমান আদালত জানায় কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় প্যামপাস এগ্রো এন্ড লজিস্টিক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ভযাবহ অন্যায় কাজটি করছিল। ওই প্রতিষ্ঠানটি যমুনার উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিক্রি করছিল।
ভ্রাম্যমান আদালত সিলগালা করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর দুজন মালিককে তিন মাসের কারাদণ্ড, এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ পণ্য সামগ্রী জব্দ করে। বেশ কিছু পরিমাণ মাস্ক উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে।
কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি যমুনার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ক্লিন এন্ড কেয়ার নামে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করে আসছিল ।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান জানান, অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক সিরাজুল ইসলাম স্বপন ও নূর মোহাম্মদ খান শিমুল নামে দুই ব্যক্তিকে তিন মাসের কারাদন্ড এক লাখ টাকা জরিমানাস করে।
এদিকে শহরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান এ কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। এরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কেরু এন্ড কোং থেকে বাল্ক কিনে এনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মোড়কে বাজারে ছেড়েছ। নিচ্ছে মুল্য। ব্যবহার করছে নিজেদের প্রতিষ্টানের লোগো। স্বীকার করেনি মুল উৎপাদকের নামটি পর্যন্ত।
এ ব্যাপরে জেলা প্রশাসনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান বিষয়টি তারা ঠিক করেনি। এটা প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *