অনলাইন ডেস্ক : কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত সরকার একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি আরও বলেন, দুই দেশই তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলোও চিহ্নিত করতে পারবে।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজতর করার সম্ভাব্য উপায় ও চ্যালেঞ্জসমূহ’- বিষয়ক ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সহযোগিতায় এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এসময় ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ শিল্প নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বিগত কয়েক মাসে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ বছরের মার্চ মাসে পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে ট্রাক আসা যাওয়ার সংখ্যায় ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে। চলমান মহামারির কারণে উভয় পক্ষের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলো মোকাবিলায় সমস্ত অংশীদারদের কাজ করতে হবে।
হাই কমিশনার আশা প্রকাশ করেন, ভারত-বাংলাদেশের অসাধারণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তারা শিগগির বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে। মহামারি মোকাবিলায় উভয় সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। দুই দেশই তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলোও চিহ্নিত করতে পারবে।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ উদীয়মান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ওয়েবিনারে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, বর্তমানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় অস্থায়ী অচলতার মুখোমুখি হলেও আমি আশাবাদী যে, এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এছাড়া, শক্তিশালী বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও সমন্বয়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বণ্টনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশের শিল্প নেতারা বৈশ্বিক বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ধারণা তুলে ধরেন।
এসময়ে ভারতীয় হাই কমিশন ও আইবিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন ব্যবসায়ী নেতারা।