Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

‘এক্সট্রাকশন’ ছবিতে যে ঢাকাকে দেখানো হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : হলিউডের আলোচিত ছবি ‘এক্সট্রাকশন’ নিযে বাংলাদেশি দর্শকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। প্রথমে ছবিটির নামই ছিল ঢাকা। তাই মনে করা হয়েছিল ছবিটির কেন্দ্রে থাকবে এ শহর। কিন্তু ছবিতে ঢাকার কোনো চিরচেনা রূপ, নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেনি। বরং সিনেমাতে এ শহরকে দেখানো হয়েছে পৃথিবীর নিকৃষ্ঠ স্থান হিসেবে। যে শহরের মানুষ বাংলা নয়, হিন্দি গান শুনে। গালাগালি করে। রিকশার শহর হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া এ ছবির ঢাকাতে রিকশা নেই। আছে অটোরিকশা। যেখানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে মাফিয়া ডনের জন্য। ২৪ এপ্রিল ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকে চলছে জোর সমালোচনা। অনেকে বাংলাদেশে নেটফ্লিক্স বন্ধ করার পক্ষেও মত দিয়েছেন।

সিনেমার শুটিংও ঢাকায় হয়নি, যে ঢাকাকে ছবিতে দেখা যাচ্ছে তা ভারতের আহমেদাবাদ। ঢাকা থেকে কিছু প্লেট শট নিয়ে সেখানে অভিনেতাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো ছবি জুড়েই অ্যাকশন। ছবিটির বেশকিছু অংশের শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে, ভারতের মুম্বাইয়ে ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বাংলাদেশকে ছোট করার পাশাপাশি, দেশের ভাষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছোট করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে ছবিটিকে ঘিরে। ।

সিনেমাটিতে মাফিয়া চরিত্রে রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তার ছেলে অভিকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে আসে বাংলাদেশের ড্রাগ মাফিয়া আমির আসিফ। পঙ্কজ ত্রিপাঠি জেলে থাকায় কারণে তার বাইরের সব কাজ দেখাশোনা করে তার প্রধান সহকারী রণদীপ হুদা। বসের ছেলেকে উদ্ধারে রণদীপ টেইলর রেকরূপী ক্রিস হেমসওর্থকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন ঢাকায়।
ছবির শুরুতেই ঢাকার কংক্রিটের জঙ্গল। এরপর দেখা গেল কয়েকটা বস্তি, ট্রাক, বাস আর অসংখ্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিন্তু দেখা মিলল না রিকশার। আবার সিএনজির পেছনে লেখা (সার্ভসাক্তিমান) যা দেশের কোনো সিএনজিতে লেখা নেই। এছাড়াও চোখে পড়ার মতো একটি বাসে লেখা (হাসিনা পরিবহন) এগুলোর সাথে সাথে গলি দোকান বিক্রির লেখা নিয়ে চলছে মন্তব্য। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে ভারতের মাফিয়ার ছেলে যেন ফেরত না যেতে পারে সেজন্য পুরান ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবিটির জন্য বাংলা ভাষা নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তাদের নিয়ে সমালোচনা করছেন দর্শকরা।

Exit mobile version