ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদ ও গুজব ছড়ানোয় গ্রেফতার দুই

অনলাইন ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে Jarine Afrine Ruma নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৯ এপ্রিল ভোররাত ৪টা ৭ মিনিটে একটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন।

পোস্টটি দৃষ্টিতে আসার সাথে সাথেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিম। কিন্তু, বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি করে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হয়।
সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের চলমান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং গুজব রটানোর উদ্দেশে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্ররোচণায় তিনি প্রথম পোস্টটি করেছিলেন। ওসির বিরুদ্ধে তিনি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছেন, আসলে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যে তরুণীর ধর্ষিত হওয়ার কথা তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি তাকে চিনেন না বা ওই নামে আদৌ কেউ রয়েছেন বলে তার জানা নেই।

উল্লিখিত স্থানীয় ওই ব্যক্তির প্ররোচণায় ইন্টারনেট থেকে তিনি অচেনা একটি মেয়ের ছবি ডাউনলোড করে পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন। গুজব রটানোর কারণে তিনি লজ্জিত উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য কিংবা গুজব ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া, এর মাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করা হয়েছে।

করোনাকালে গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে জনগণের জন্য পুলিশের সেবাধর্মী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করারও প্রয়াস এটি। যে কোন গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক অভিযোগের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে কখনো কার্পণ্য করেনি বাংলাদেশ পুলিশ এবং করবেও না। পাশাপাশি, গুজব রটিয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও জনস্বার্থবিরোধী যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের কঠোর আইনী অবস্থান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে ওই অ্যাকাউন্টটির প্রকৃত ব্যবহারকারীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রেস নোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *