আগামী ১০ মে থেকে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত

অনলাইন ডেস্ক : পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১০ মে থেকে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১৫ মিনিট যোহরের নামাজের জন্য বিরতিতে লেনদেন বন্ধ থাকবে।

লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। লকডাউন ঘোষিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন সময়সূচি পুননির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

দেশের প্রতিটি উপজেলায় স্বীয় দূরত্ব বিবেচনায় অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকগুলোর কম হলেও একটি করে শাখা প্রত্যেক কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। একই উপজেলায় একই ব্যাংকের একাধিক শাখা থাকলে আলোচনার ভিত্তিতে পালাক্রমে খোলা রাখতে হবে। তবে বিষয়টি গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে হবে কোন শাখা কোন কোন দিন খোলা থাকবে। মহানগরের প্রতিটি থানায় একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। যেসব ব্যাংকের অনলাইন সেবা নেই তাদের শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে।

জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের যে কোনো একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে এডি শাখা এবং শুধুমাত্র জরুরি বৈদেশিক লেনদেনের জন্য অন্যান্য ব্যাংকের স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ এডি শাখা খোলা রাখতে হবে।

ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে।

সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।

গ্রাহকের প্রয়োজনে নগদ-চেকের মাধ্যমে জমা-উত্তোলন, ডিডি, পে-অর্ডার ইস্যু, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, পরিশোধ, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, সরকারের সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা-অনুদান বিতরণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, প্রণোদনাগুচ্ছের কার্যক্রম, যাবতীয় নিয়মাচার মেনে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম, গ্যাস, বিদ্যুত বিল গ্রহণ, পেমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন মতে এনআরবি বন্ড, বিভিন্ন প্রকার সঞ্চয়পত্রের লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এসব লেনদেনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *