অনলাইন ডেস্ক : গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে মারা গেছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৩১ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনায় দিন দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এদিকে, বাংলাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। সোমবার দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৭৮৬ জন। সোমবারের চেয়ে আজ ৯৮ জন বেশি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯২৯ জন। যা বিশ্বে ৩৭তম! আক্রান্তের দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (১,২১২,৯৫৫ জন), স্পেন (২৪৮,৩০১ জন) এবং ইতালি (২১১,৯৩৮ জন)। মৃত্যুর দিক দিয়েও শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৬৯, ৯২৫ জন। স্পেনে মারা গেছে ২৫,৪২৮ জন এবং ইতালিতে ২৯,০৭৯ জন। চার এবং পাঁচ নম্বরে থাকা যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৮,৭৩৪ জন এবং ২৫,২০১ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৩ জন। প্রতিবেশী ভারতে আক্রান্ত ৪৬,৪৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১,৫৭১ জনের। যদিও করোনার লক্ষণ নিয়ে প্রতিদিনই বাংলাদেশে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেগুলো পরীক্ষা না হওয়ার কারণে হিসাবে ধরা যাচ্ছে না। আর স্বল্প পরীক্ষাতেও যে পরিমাণ করোনা আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ছে, সেটা রীতিমতো আশংকার।
একটি পরিসংখ্যান দিলেই বাংলাদেশে আক্রান্তের গ্রাফ যে বাড়ছে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৬,৩১৫টি। এরমধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৮৮ জন। এর আগে গত রবিবার বাংলাদেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছিলেন ৬৬৫ জন। গত শনিবার নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৫২ জন আর গত শুক্রবার শনাক্ত হন ৫৭১ জন। এই পরিসংখ্যান মোটেও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মাঝেই দোকানপাট-শপিং মল খুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।