ভারতে লকডাউন শিথিলের পর মৃত্যু এবং আক্রান্তের রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক : ভারতে লকডাউন শিথিলের পর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কোনওভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না আক্রান্তের সংখ্যায়। আর সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে আতঙ্কিত ভারতের মানুষ।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৯০০। যা এখনও পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ। গত কয়েকদিনে দৈনিক যেখানে ২,০০০ এর বেশি করোনা আক্রান্তের হদিস মিলছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় তা এক লাফে বেড়ে ৪,০০০-এর কাছে চলে গেছে। এই বৃদ্ধির জেরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৪৩৩।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। যা এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এর জেরে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৫৬৮। এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৭২৭।

ভারতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক জায়গা হচ্ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও দিল্লি ৷ মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৭৪ আর মৃত্যু হয়েছে ৫৪৮ জনের৷ মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাট। সেখানে মোট আক্রান্ত ৫৪২৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি, সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৪৯, আর মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুকে নিয়েও চিন্তায় আছেন ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্তারা।

মধ্যপ্রদেশে সংক্রমিত হয়েছেন ২,৯৪২ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৬৫ জনের। রাজস্থানে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের।

তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০২৩, মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। উত্তরপ্রদেশে ২৭৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫৯। মৃতের সংখ্যা ৬১।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ ভারতে প্রথম দফায় লকডাউন জারি করা হয়। এই লকডাউনের মেয়াদ এখন পর্যন্ত দুই দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রবিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিলের পাশাপাশি গ্রিন জোন এলাকার অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে বেশ কিছু নতুন শর্তজুড়ে দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়া হয়। দেশটিতে রোববারও করোনায় মারা গেছেন অন্তত ৮৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫৭৩ জন।

দীর্ঘ সময়ের লকডাউনের কারণে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় দেশটির ১৪ কোটি অভিবাসী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ এইট্টিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *