কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দম্পত্তি ৫বছরের শিশু কন্যাসহ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাড়পত্র দিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত করেছেন।
করোনাজয়ী সুস্থ্য হওয়া রোগীরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা তছিকুল ইসলাম(৩১) স্ত্রী শিল্পী বেগম(২৪) ও শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন(০৫)।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তাপস কুমার সরকার জানান, করোনাক্রান্ত এই দম্পত্তিদের নিয়ে আমরা একটা বিব্রত পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম। ঢাকার কামরাঙীর চরে থাকতেন এই তছিকুল-শিল্পী দম্পত্তি ও ৫বছর বয়সী শিশু কন্যা ফাতেমা। এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে এই দম্পত্তি কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্তের লক্ষন নিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। পরে তারা ঢাকা মেডিকেলে গেলে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেন এবং বাসায় গিয়ে সাবধানে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ২৩ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার বিকেলে তাদের ভাইরাস পজিটিভের সংবাদ জানার পর সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি আসার পথে ওই রোগীদের ২৪এপ্রিল শুক্রবার সন্ধায় রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ। পরে রোগীদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম দ্য বিডি রিপোর্ট কে জানান, করোনাক্রান্ত এই পরিবারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকরা একটা চ্যালেঞ্জের মুখে যুদ্ধ জয় করেছেন। দীর্ঘ ১৬দিন ওই দম্পতিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা ধীরে ধীরে সুস্থ্য উঠার পর আমরা কেএমসিএইচের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ নিশ্চিত হয়েই আজকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হলো। গত এপ্রিল থেকে অদ্যবধি কুষ্টিয়াতে ২০ জন করোনা আক্রান্ত পজিটিভ রোগী সনাক্ত ও তাদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলা হয়েছে। আজ শনিবার সর্বশেষ এই তিনজন রোগীদের ছাড়পত্র দেয়ার মাধ্যমে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আর কোন করোনাক্রান্ত রোগী নেই বলেও জানালেন তিনি।
আমরা যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে কঠোরতার সাথে নানা উদ্যেগ গ্রহন করছিলাম; ঠিক সেই মহুর্তে করোনা আক্রান্ত এই দম্পতি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় প্রবেশ করে বলা যায় আমাদের একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলো। আমাদের চিকিৎসকরাও খুব নিবির পরিচর্যায় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের সুস্থ্য করে তুলেছেন এজন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানায়।