বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়ায় করোনায় আক্রান্ত রানী বেগম (২৬) নামে এক গার্মেন্ট কর্মীর সংস্পর্শে আসায় উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ ৫ স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
কচুয়া হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি থাকা ওই গার্মেন্ট কর্মীর নমুনা পরীক্ষা রবিবার রাতে পজেটিভ আসায় উপজেলার শ্রীরামপুরে তার গ্রামের বাড়িসহ ৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে ওই গার্মেন্ট কর্মীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্সসহ ৫ স্বাস্থ্য কর্মী ও পরিবারের ৫ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, করোনায় আক্রান্ত রানী বেগমের সংস্পর্শে আসায় ডাক্তার, নার্সসহ ৫ স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার বাড়ির পাঁচ জন ও ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীসহ ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে বাগেরহাট জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ জনে। তাদের মধ্যে মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বড় বাদুরা গ্রামের দুলাল হাওলাদার (৪৫) মারা গেছেন। চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাটলপাড়া গ্রামের মুয়াজিন কবির মোল্লা, শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের পোশাক কারখানার ড্রাইভার শাহিন হোসেন ও বাগেরহাট সদর উপজেলা ডেমা ইউনিয়নের বাশঁবাড়িয়া গ্রামের জিহাদ নামের এক কিশোর করোনা আক্রান্তের পর সুস্থ হয়েছেন।