অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই সংখ্যা থামানো যাবে না যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা যাবে। ভারতের জনসংখ্যার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনই মত দিয়েছেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বিসাই।
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের আয়োজিত এক সেমিনারে রাজস্থানের জয়পুরে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তার মতে ভ্যাকসিন বের হতে এখনও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ততদিন সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
অধ্যাপক ডেভিড বলেন, দুবছরের মধ্যে ভ্যাকসিন বের হলেও ততদিনে ভারতীয় অর্থনীতি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষত তখন চাপ পড়বে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। উপার্জন কম হবে অথচ লোকবল থাকবে বেশি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ক্ষতি এড়াতে। ব্যাংকগুলো যদি সহজ কিস্তিতে টাকা ধার দেয়, তবে শিল্পোদ্যোগীদের সাহায্য হবে, কর্মসংস্থানও বাড়বে, দেশের অর্থনীতিও সচল থাকবে বলে জানান এই অধ্যাপক।
বোতসওয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নারায়ন সিনহা জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ হারানো দেশের জন্য বড় ক্ষতি। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে। তাই পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ ফিরে না পেলে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।
তিনি জানান, লকডাউনের জেরে ৯২.৫ শতাংশ শ্রমিক তাদের কাজ হারিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত খুব দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এরই মধ্যে ভয়ের খবর শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন কোনওদিন নাও বের হতে পারে। এমন তথ্য দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. ডেভিড নাবারো।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে নাবারো বলেছেন, করোনা এমন এক ভাইরাস, যার ভ্যাকসিন না বের হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তৈরি করা বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্য নাবারো জানান, বিশ্বে এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে, যার ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব হয়নি। তাই করোনার ভ্যাকসিন যে তৈরি হবেই, একথা জোর দিয়ে বলা যায় না। যতক্ষণ না করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিনটি সবধরণের পরীক্ষা ও সতর্কতামূলক বিধি উতরে না যাচ্ছে, ততক্ষণ সেটি ব্যবহারের যোগ্য নয় বলেই মনে করা হবে, যোগ করেন নাবারো।
এই সাক্ষাতকারের পরে সিএনএনের রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য বলছে, করোনার ভ্যাকসিন নাও বের হতে পারে। তাই এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। সূত্র: কলকাতা২৪