অনলাইন ডেস্ক : তিনদিন বিরতির পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল শনিবার দুই প্রবাসী মারা গেছেন। এ নিয়ে নিউইয়র্কসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে ২২৪ বাংলাদেশির প্রাণ ঝরলো করোনা মহামারিতে। অপরদিকে, গোটা আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে এদিন।
হাসপাতাল এবং স্বজনের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, জ্যামাইকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন দরবার হোসেন (৫৯) নামক এক প্রবাসী। অপরদিকে সন্দ্বীপ সোসাইটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব আবু তাহের হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান যে, ব্রুকলীন নিবাসী এবং সন্দ্বীপের মুছাপুরের সন্তান শামসুন্নাহার (৬০) ইন্তেকাল করেছেন কিংসব্রুক হাসপাতালে।
এদিকে, টানা দেড় সপ্তাহ ধরেই নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনি হাসপাতালে ভর্তির হারও কমেছে। স্টেট গভর্ণর এ্যান্ড্রু ক্যুমো নিয়মিত প্রেস বিফিংকালে শনিবার দুপুরে উল্লেখ করেন, সর্বশেষ গত শুক্রবার মারা গেছে ১৫৭ জন। আগেরদিনের চেয়ে তা ২৫ জন বেশী হলেও তুলনামূলক চিত্রে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে উল্লেখ করেন।
গভর্ণর বলেন, হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৪০০ তে এসেছে। আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের সংকট নেই বললেই চলে। এজন্যে বেশ কটি হাসপাতালে করোনা ছাড়া অন্য রোগীদের চিকিৎসার পথ সুগম হয়েছে।
গভর্ণর বলেন, নিউইয়র্ক হচ্ছে সারাবিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ একটি এলাকা। সেটির লকডাউন ক্রমান্বয়ে শিথিলের পথে রয়েছি আমরা। ২৮ মে লকডাউনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা শিথিলের প্রথম ধাপ শুরু করা যেতে পারে।
এদিকে, হোন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত নিউইয়র্ক স্টেটে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮১৩৪ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯। সারা আমেরিকায় মোট মৃত্যুও সংখ্যা ৯০১১৩ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৭৩।