‘করোনানাভাইরাস ছড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী মোবাইল ফোন’

ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এখনো আবিষ্কার হয়নি এই মহামারীর কোনও প্রতিষেধক। আপাতত প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই একমাত্র পন্থা এই ভাইরাস থেকে বাঁচার। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলে নিরব ঘাতকের মতো মানুষের দেহে ঢুকে পড়ছে। এবার করোনা ছড়িয়ে পড়ার আরও ভয়ঙ্কর তথ্য দিলো দুবাই পুলিশের চিকিৎসা বিজ্ঞানী। খবর গালফ নিউজের।

তাদের দাবি গবেষণায় বলছে, মানুষের অজান্তেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। মোবাইলে ভর করেই বাইরে থেকে ঘরে, ঘর থেকে ঘরে ঢুকে পড়ছে এই মহামারী। বলা হচ্ছে- করোনার চতুর্মুখী সংক্রমণ ছড়াতে মারাত্মক ভূমিকা রাখতে পারে এই মোবাইল ফোন। পৃথিবীর প্রায় ৪৮ লাখ মানুষের করোনা সংক্রমণের পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী মোবাইল ফোন। তাই এখনই সতর্ক হয়ে শুধু নিজেকে জীবাণুমুক্ত করলেই হবে না, মোবাইল ফোনও জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

দুবাই পুলিশের ফরেনসিক সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনলজি বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নবিষয়ক পরিচালক মেজর ড. রাশিদ আল গাফরি বরেছেন, মহামারী কোভিড-১৯ ছড়ানোর একটি মোক্ষম মাধ্যম আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন। আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অনেক ফোন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি, এর গায়ে শত শত জীবাণু মিলেছে। ব্যাকটেরিয়া ও নভেল করোনাভাইরাসের মতো অনেক ভাইরাস বহন করতে সক্ষম মোবাইল ফোন। মহামারি ছড়াতে ব্যাপক ভূমিকা থাকতে পারে ফোনের।

তিনি দাবি করেন, যে কোনও জীবাণু বা ভাইরাস বেশি সময় মোবাইলে থাকতে পারে এবং নিজেদের পুনরুৎপাদন করতে পারে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফোনে ভাইরাসের জীবাণু থেকে যেতে পারে। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, নৌজাহাজে এবং বিমান যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ফোনের মাধ্যমে অবলীলায় ছড়াতে পারে। তার এই দাবি ফেলে দেওয়ারও নয়, কেননা শুরুর দিকে মানুষ নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখলেও ব্যবহৃত ফোনকে জীবাণুমুক্ত রাখেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *