যশোরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি সংস্কার করে দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা

ইকরামুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি : জেলার সব উপজেলায় একযোগে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় গাছ পড়ে বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা। ৮টি টিমে বিভক্ত হয়ে ৮ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি চিহ্নিত ও মেরামত করে দিচ্ছে।
সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শনিবার (২৩ মে) সকালে সেনা সদস্যদের একটি সদর উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকায় কাজ করছেন।
মেরামত কাজের নেতৃত্ব থাকা ক্যাপ্টেন কামরুল হাসান বলেন, যশোর জেলায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য সেনাপ্রধানের নির্দেশ ও যশোর সেনানিবাসের জিওসি’র তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করা হয়েছে।
প্রথমে যাদের বাড়ি মেরামত করার সামর্থ্য নেই তেমন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপর তাদের বাড়িটি পুরোপুরি মেরামত করে দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যাদের গবাদি পশু ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদেরও আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার ১০টি ঘর মেরামত করা হয়েছে। আজ ২০টি বাড়ি মেরামত করে দেবার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।। এভাবে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।
এদিকে সেনা সদস্যদের কাছ থেকে এ মানবিক সহায়তা পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা। আব্দুর রহিম নামে একজন বলেন, ঝড়ে পুরো ঘরটি পড়ে যায়। সামর্থ্য ছিল না ঠিক করার। সেনা সদস্যরা এসে ঘরটি মেরামত করে দিচ্ছে সাথে খাবারও দিয়েছে। এতে আমি খুব খুশি।
জরিনা বেগম নামে অপর এক নারী বলেন, প্রতিবন্ধী একটি নাতিকে নিয়ে আমার সংসার। ঝড়ে ঘর পড়ে যাওয়া খুব চিন্তায় ছিলাম। আর্মি এসে ঘর ঠিক করে দিয়েছে। খাবারও দিয়েছে। এতে অনেক উপকার হয়েছে যা সারাজীবন মনে থাকবে।
যশোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল নেয়ামুল হাসান জানিয়েছেন, আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার চেষ্টা করছি। দুইদিনে ১৪০টি ঘর মেরামত করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা সম্ভব হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *